রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর :
অতীতের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দৈনিক সময়ের কাগজ ও জয়যাত্রা টিভির শৈলকুপা প্রতিনিধি ও শৈলকুপা প্রেসক্লাবের সদস্য মনিরুজ্জামান মনির ও তার পরিবারকে হেনস্তা করা হয়েছে। বাড়ি ভাংচুর সহ বিভিন্ন সময় হামলা হয়েছে তার পরিবারের মা-বাবা ও নানা সহ পুলিশের এএসআই এর উপর প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম, সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন ও চাঁদাবাজি, রেজাউল কাজীর বসতী ভীটা জড়পূর্বক দখল করাসহ হামলা মামলার সীকার হয়েছেন অনেকেই। সারারাত অপরহণের মতো ঘটনাও ঘটেছে। ঘটনার সাথে জড়িত কাঁচেরকোল গ্রামের ইদ্রিস আলী মিয়ার ছেলে ইমরান মিয়া ওরফে ডিস বাবু ও সাদেকপুর গ্রামের মৃত নতো শেখের ছেলে জাহাঙ্গীরসহ তার সহোযোগিতের নাম প্রতিবার উঠে আসলেও পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাহিরে সন্ত্রসীরা। বুধবার দুপুরে উপজেলার কচুয়া বাজারের এলাকা থেকে সাংবাদিক মনিরুজ্জামান মনিরের নানা (মহির উদ্দিন ডাবলু) এর উপর হামলার ঘটনা ঘটে। সাংবাদিক মনিরুজ্জামান মনির জানান, আবারো আমার পরিবারের সদস্যের উপর মাদক ব্যবসায়ী ডিসবাবুর সন্ত্রাসী হামলা। পবিত্র মাহে রমজানের ১ম দিনেই মাদক সম্রাট ও সন্ত্রাসী ডিস বাবু ও তার সহযোগী বাহিনী জাহাঙ্গীরের দেশীয় ধারালো অস্ত্রের আঘাত থেকে বাঁচতে কোন রকমে দৌড়ে পালিয়ে রক্ষা পেয়েছে আমার নানা। ১৪ এপ্রিল (বুধবার) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আমার নানা মহির উদ্দিন (ডাবলু) রমজানের জন্য কাঁচেরকোল ইউনিয়নের কচুয়া বাজারে কাচাঁবাজার ক্রয় করতে যায়। মনিরের নানা ডাবলু জানান, লকডাউনের কারনে আমি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কচুয়া বাজারে রমজানের জন্য কিছু কাঁচাবাজার কিনে ফেরার পথে কচুয়া বাজারের মধ্যে দেখা হয় ডিসবাবু ও জাহাঙ্গীরের সাথে সেসময় ডিস বাবু জাহাঙ্গীরকে বলে- ওই যে ডাবলু ওরে কুপা। ডিস বাবুর হুকুমে জাহাঙ্গীর ধারালো অস্ত্র বেড় করতেই আমার নানা কাঁচাবাজারের ব্যাগ ও সাইকেল ফেলে রেখে দৌড়ে বাড়িতে ফিরে আসে। এব্যাপারে চেয়ারম্যান ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এপর্যন্ত স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের থেকে কোন রকমের ন্যায় আইনি প্রতিকার পাইনি। এলাকাবাসী জানান, এর আগে তো মনিরের মাদকের একটি প্রতিবেদন লিখেছিলো, তারপর অনেক হজবরল ঘটনার উদ্ভব ঘটেছে । মামলা হয়েছে কিন্তু আসামী গ্রেফতার হয়নি। পর্দার অন্তরালে কি আছে তা অস্পষ্ট। সবার উচিত এলাকার মানুষদের এক হয়ে, এদের বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া। তারপর, আশাকরি বিষয়টি নিরসন হবে। শৈলকূপার কচুয়া তদন্ত কেন্দ্রের (তদন্ত অফিসার) পুলিশ কর্মকতা শামসুজোহা ও এসআই আনিসুর রহমান বলেন, এই বিষয়ে আমাদের জানানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছি। এঘনার কিছুক্ষন পরে দুপুর আড়াইটার দিকে সাংবাদিক মনিরুজ্জামান মনিরের বাড়িতে ২০/২৫ জন নিয়ে বাড়ি ঘেরাও করে রাখে। পরে কচুয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ফোন দিলে এসআই আনিসুর রহমানকে ফোন দিলে এসে তাঁরা তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়। এঘটনায় শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি কচুয়া তদন্ত কেন্দ্র লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।